মুসলমানদের ধর্মীয় বড় দুই উৎসব ঈদের সময় যানবাহনের ভিড়ে মহাসড়কে যানজট, ধীরগতিসহ সৃষ্টি হয় নানা ভোগান্তি। এরপরও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ছোটে ঘরমুখো মানুষ। এতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় বাস, ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহনের।
দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এতে করে সড়কে বেড়েছে যানবাহন। এবার যানবাহন পারাপারে নতুন রের্কড করেছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু। ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের কমপক্ষে ২৩ জেলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর মধ্যে সেতু পূর্ব দিয়ে ৩৬ হাজার ৪৯১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫০ টাকা। সেতু পশ্চিম দিয়ে ১৮ হাজার ৯৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০ টাকা। সবমিলিয়ে যানবাহনের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৪৮৮টি।
এর আগে গত সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করে সেতু কর্তৃপক্ষ। ওই সময় মোট ৪২ হাজার ৫৬০টি যানবাহন পারাপার হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ঈদের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৬-২৫ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ফলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত এই ১৪ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট ও ভোগান্তি হয়ে থাকে।