রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সংস্কারকৃত স্থাপনাগুলোর একটি ভিডিও উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন।
বুধবার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বিভিন্ন কক্ষে স্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন এবং সংস্কারের প্রশংসা করেন।
তোষাখানা ভবনটি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের উপহার এবং ঐতিহাসিক আলোকচিত্র দ্বারা সুসজ্জিত।
বঙ্গভবনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই জরাজীর্ণ তোষাখানাকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আধুনিক রূপ দিয়ে জাদুঘরে সংস্কার করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরের সংস্কারকৃত স্থাপনা উদ্বোধন করেছেন। এটি সীমিত সময়ের জন্য জনসাধারণের দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
জাদুঘর পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এটি সত্যিই একটি ভালো কাজ... তাছাড়া এটিকে সুসজ্জিতও করা হয়েছে।’
পরে রাষ্ট্রপতি সেখানে একটি দর্শনার্থী বইতেও সই করেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস মানুষকে অতীত ও ভবিষ্যতের পথ দেখায় এবং বঙ্গভবন বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তোশাখানা জাদুঘরে প্রদর্শিত স্যুভেনির এবং বিভিন্ন সময়ের স্থিরচিত্র অতীতকে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে সংযুক্ত করতে অবদান রাখবে।’
এই জাদুঘরটি বাঙালির শতবর্ষের বর্ণিল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি দূত বা রাষ্ট্রদূত ও দর্শনার্থীরা তাদের সফরকালে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন।
তিনি বলেন, তোষাখানা জাদুঘর বঙ্গভবন ও দেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
বঙ্গভবনকে একসময় 'মানুক বাড়ি' বলা হতো। পরে এটিকে 'গভর্নর হাউস' হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামিক এবং বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের এক অনন্য সমন্বয়ে এই ভবনটি এখন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির অফিস এবং বাসভবন।