বরিশালে শুরু হয়েছে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কারণে জেলা শহরের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছেন যাত্রীরা।
এদিকে বাস ও থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের পর সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ছিল। শুক্রবার সকালে বাস ও থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবি নিয়ে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যতক্ষণ এসব দাবি মানা না হবে- কোনো থ্রি হুইলার চলবে না।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, বিভিন্ন দাবি নিয়ে বাস ও থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালিক পক্ষ ও শ্রমিক নেতারা যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই তারা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, ভোলায় আওলাদ নামে একটি লঞ্চে বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে লঞ্চ চলছে না।
এদিকে, শনিবার বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের কারণেই বাস, মাইক্রোবাস, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ করা হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন।