বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান।
শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় শারম্যান এসব কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট শেরম্যান গত ৪ অক্টোবর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘের তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রাপ্ত বার্তা অনুসারে, রাশিয়ার ‘অবৈধ আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ’র শিকার ইউক্রেনের জনগণের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরেছেন শেরম্যান।
শারম্যান ও শাহরিয়ার আলম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। কেননা দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে দেশটির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আসন্ন ২৭তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ ২৭) একটি কর্মমুখী আলোচনার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ওয়েন্ডি আর শেরম্যান জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং কপ ২৭’র আগে ‘গ্লোবাল মিথেন প্লেজ’ এ যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশের শ্রম খাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন। সেই সাথে ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়গুলোও আলোচনায় স্থান পায়।