বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগণ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন প্রদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) ৫৮তম ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদ্যাপনের জন্য সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার ভার্মা বলেন, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীদের একজন হিসেবে বাংলাদেশ আইটেক প্রোগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এই বছর সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি উন্মোচনকে তিনি একটি উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি।
যেখানে বাংলাদেশ প্রতিবছরে আইটেক-এর জন্য ৫০০টি ডেডিকেটেড স্লট প্রাপ্ত হয়, এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়।
আইটেক, ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। ভারতের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি।
এটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করে আসছে। প্রতিবছর, অ্যাকাউন্টস, অডিট, সুশাসন অনুশীলন, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় বিষয়, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং ও রিনিউয়েবল এনার্জির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আইটেক অংশীদার দেশগুলোকে প্রথম সারির ভারতীয় ইনস্টিটিউটসমূহে ১০ হাজার টিরও বেশি প্রশিক্ষণ স্লট দেয়া হয়ে থাকে।
আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ অগ্রণী ও সুযোগ্য অংশীদার। এমনকি ২০২০-২১ সালে কোভিড মহামারিও এই উৎসাহ হ্রাস করতে পারেনি, যখন ই-আইটেক-এর অধীনে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। ৪ হাজার ৫০০-এরও বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনাল আইটেক প্রোগ্রামের অধীনে ভারতে এই জাতীয় বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী কোর্স করেছেন।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রতিভাধরদের সঙ্গে সেরা ভারতীয় অনুশীলনগুলো সহভাগিতা করার সুযোগ দেয়। ফলস্বরূপ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয়ক্ষেত্রেই অসাধারণ অগ্রগতি সাধনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইটেক দিবসের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের পাশাপাশি, নানান ক্ষেত্র থেকে প্রায় ২৫০ জন আইটেক অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট অ্যালামনাইদের মাঝে কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্যের যুগলবন্দীর একটি ছোট সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।