প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘বাণিজ্য-কৃষি-নগরায়ণে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ-চীন’

দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী-পরিপূরক-ক্রমবর্ধমান : চীনের রাষ্ট্রদূত
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:২৯:৩১ | আপডেট: ২ years আগে
‘বাণিজ্য-কৃষি-নগরায়ণে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ-চীন’
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং | ছবি - শামসুল হক রিপন

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী, পরিপূরক এবং ক্রমবর্ধমান। আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশাল এবং মজবুত।

লি জিমিং বলেন, ‘গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের মাঝামাঝি চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের কৃষি, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো, নগর ব্যবস্থাপনা এবং দারিদ্র্যের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে।’

শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘চায়না-বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজেস কো-অপারেশন ফোরাম ২০২২’ শীর্ষক বিজনেস নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং চীনে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি বুঝতে পেরেছিলেন এবং দ্রুত বর্ধনশীল দেশের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব শুরু করেছিলেন।’

চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ, অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো, নগর ব্যবস্থাপনাসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান।

এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী, পরিপূরক এবং ক্রমবর্ধমান। আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশাল এবং মজবুত।

তিনি বলেন, ‘গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের মাঝামাঝি চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের কৃষি, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো, নগর ব্যবস্থাপনা এবং দারিদ্র্যের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে।’

লি জিমিং বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদ বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবন-জীবিকা সহজ করা বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে চীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশকে ক্রমাগত সহযোগিতা করছে।

বাংলাদেশে আরও চীনা বাজারমুখী বিনিয়োগ প্রয়োজন। রপ্তানি বাড়াতে চীনের বাজারে যা প্রয়োজন তা বাংলাদেশকে উৎপাদন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।