বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। যা ২০২১ সালে বাংলাদেশ এই তালিকার ১৩তম অবস্থানে ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। দুর্নীতির ধারণা সূচকে (সিপিআই) ১০০ স্কোরের মধ্যে দেশটি পেয়েছে ১২। এ তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া। আর তৃতীয় ভেনেজুয়েলা। তাদের স্কোর যথাক্রমে ১৩ ও ১৪।
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’-এ এ তথ্য উঠে এসেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২২ এ এক ধাপ অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এ বছর সূচকে নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ এবং উপরের দিক থেকে ১৪৭। এবার বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে ২৫ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এবার আফগানিস্তানের স্কোর ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ঘুরেফিরে ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের থেকে নিচে চলে যাওয়া ঝুঁকিতে আছে।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে ডেনমার্ক, দেশটির স্কোর ৯০ পয়েন্ট। কম দুর্নীতি গ্রস্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতির তালিকায় বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে একমাত্র আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের দুর্নীতির সূচক গত বছরের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের দুর্নীতির সূচক, গত বছরের তুলনায় এক কমে দুর্নীতি আরও বেড়েছে।