প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘বৈশ্বিক মন্দায় রপ্তানি খাত শক্তভাবে মোকাবিলা করেছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৭:২২ | আপডেট: ২ years আগে
‘বৈশ্বিক মন্দায় রপ্তানি খাত শক্তভাবে মোকাবিলা করেছে সরকার’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | পুরনো ছবি

রপ্তানি খাতকে আরও প্রসারিত করতে দীর্ঘমেয়াদি প্রণোদনা প্রদান করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার সময়ে বৈশ্বিক মন্দায় রপ্তানি খাত শক্তভাবে মোকাবিলা করেছে সরকার। আর তা সম্ভব হয়েছে সরকারের প্রণোদনার কারণে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‌‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ১৩ বছর পূর্ণ হয়ে এখন প্রায় ১৪ বছর চলছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছিলাম বদলে যাবে বাংলাদেশ। সত্যিই বাংলাদেশ বদলে গেছে। ’

রোববার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যে রূপকল্প ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়েছিলাম তা বাস্তবায়ন করেছি। এখন কাজ হলো ২০২১ থেকে ২০৪১ এর বাংলাদেশ, আমরা চাই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। জাতিসংঘ ঘোষিত এসজিডি বাস্তবায়ন করা, তার ভিত্তিতেই কাজ করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা বদ্বীপ, ঝড়ঝাপটা আসে। এটা মাথায় রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি। এর বাস্তবায়নও শুরু করেছি। উন্নত জীবনের ব্যবস্থাটা দিয়ে গেলাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে এটা বাস্তবায়ন করলে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় রপ্তানি খাতকে আরও প্রসারিত করতে সরকার দীর্ঘমেয়াদি প্রণোদনা প্রদান করবে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনার সময়ে বৈশ্বিক মন্দায় রপ্তানি খাত শক্তভাবে মোকাবিলা করেছে সরকার। আর তা সম্ভব হয়েছে সরকারের প্রণোদনার কারণে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে নগদ অর্থ সহায়তা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ওয়ারহাউস সুবিধা, বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানি সুবিধা, ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খোলার সুবিধা, হ্রাসকৃত শুল্কে মেশিনারিজ আমদানি, রপ্তানিমুখী শিল্পে অনুকূলে এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) আমরা রিজার্ভের টাকা দিয়েই করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার সুফল আমরা পাচ্ছি। সকল বাধা অতিক্রম করে এখন ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে।’

ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুযোগ করে দেওয়ার বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।

যারা শ্রম দেয় তারাও এই দেশের মানুষ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাদের উন্নত ট্রেনিং দিতে চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পদধ্বনি শুনছি। এর উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট যেমন আনতে হবে, স্কিলড লেবারও আমাদের দরকার। এ বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি। কাপড়ের মান বাড়াতে হবে। এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। শ্রমিকদের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি।’ তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার রাজনীতি হচ্ছে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য। তাদের দক্ষতা যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে। সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে মানুষ। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। নিজেরা উৎপাদন করতে হবে। ভিক্ষা করে চলব না।’

এ সময় সরকার ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ১০০ সেতুর উদ্বোধন করে যোগাযোগের বিরাট নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।