সোমবার বিকালে ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.সিরাজ-উদ-দৌলা খান নিশ্চিত করেছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে সিওপিএস মো. শহিদুল ইসলাম, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (সিএসপি) তুষার এবং চিফ মেডিকেল অফিসার আহাদ আলী সরকার রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী লোকোমোটিভ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আরও চার সদস্যের বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি। রেল মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং আগামীকাল সকালে জিও জারি করা হবে।
সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলস্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্ধুর ‘গোধূলী এক্সপ্রেস’কে পেছন থেকে আসা কার্গো ট্রেনটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে যাওয়ার পথে বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল যাত্রীবাহী ট্রেনটি।
যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের দুটি বগি ভেঙে অনেক যাত্রী আটকে পড়ে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও র্যাবের উদ্ধারকর্মীরা দুটি ছিন্নভিন্ন বগির ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে লাশ বের করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার জানান, এ পর্যন্ত ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের ছিন্নভিন্ন কোচের মধ্যে এখনও অনেকে আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার প্রভাবে কোচগুলো উল্টে যায়।