যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত দেশসহ অনেক দেশেই মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি।
বুধবার উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আন্তর্জাতিক সংকটের ফলে দেশের মানুষ সাময়িক কষ্টে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে চরম কোন সংকট হবে না, খাদ্য সংকট বা কোন হাহাকার হবে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের ৫ বছরে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত যতই অপচেষ্টা করুক সফল হবে না। দেশের মানুষ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে না। জনগণ সবসময়ই আমাদের সাথে ছিল, আগামীতেও আমাদের সাথে থাকবে।
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধির ফলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলে দেশেও সারের দাম কমানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে), এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি।
দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরিয়ার ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।