নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রূপপুরের সঞ্চালন ব্যবস্থাপনার কাজ যথাসময়ে শেষ করতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রাক্কলিত সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করছে সরকার। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তারপরও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ যথাসময়ে বা দ্রুত সময়েই শেষ হবার প্রত্যাশা করছি।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে মার্কিন ডলার সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ যথাসময়ে সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে।
বুধবার ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যৌথ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে দুই মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য এ বৈঠক ডাকা হয়।
২৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে প্রথম ইউনিট এবং জুলাই ২০২৪ থেকে দ্বিতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি সঞ্চালন লাইন নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় আনুমানিক সময়ের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে সাংবাদিকের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজ্ঞানমন্ত্রী।
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি উচ্চ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ইভাকুয়েশন লাইন দিয়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করছে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি(পিজিসিবি)।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগ।
তিনি বলেন, পদ্মা নদী পার হওয়া সঞ্চালন লাইন একটি বড় কাজ যা শেষ হতে আরও দেড় বছর সময় লাগতে পারে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা আশা করি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই আমরা সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করতে পারব।