প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

শিশুদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন ‘আঁচল মা’

আফরিন আপ্পি, পটুয়াখালি থেকে ফিরে (পর্ব-২)
১৬ মে ২০২৩ ১৬:২৭:২৬ | আপডেট: ২ years আগে
শিশুদের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন ‘আঁচল মা’
আঁচলে দুই শিশু। ছবি: আফরিন আপ্পি

ছবির মত সাজানো এক গ্রাম। গাছপালা ঘেরা শান্ত-সুনিবিড়ি পরিবেশের মাঝে ভেসে আসে শিশুদের মিষ্টি কণ্ঠে ছড়া কাটার শব্দ। আওয়াজ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতেই দেখা মেলে টিনের চালার একটি ঘরের। আর সেখানে বসে ২০-২৫ জন শিশু মনের আনন্দে কবিতা আবৃত্তি করছে। ঘরটির দেয়ালে শোভা পাচ্ছে কচি হাতে আঁকা নানা ছবি। রয়েছে সচেতনতামূলক বাণী। এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শিশুদের বই, শিক্ষামূলক নানা খেলার উপকরণ।

ঘরটির ঠিক মাঝখানে বসে শিশুদের গল্প, কবিতা আর গানের ছলে অত্মরক্ষার কৌশল শেখাচ্ছেন প্রশিক্ষিত ‘আঁচল মা’। নাম তার রোকসানা।

বলছি পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার ১০ নম্বর বালিয়াতলী ইউনিয়নের কোম্পানিপাড়া গ্রামের কথা।

এ গ্রামের বেশিরভাগ বসতবাড়ির সাথেই রয়েছে পুকুর। কিছুদুর পর পরই ডোবা আর খাল-বিল। গ্রামের শান্ত নিবিড় পরিবেশে এ দৃশ্য মনোমুগ্ধকর হলেও এর পেছনের গল্পটা ভয়াবহ। অরক্ষিত উন্মুক্ত এ জলাশয়গুলো প্রতিবছর কেড়ে নিচ্ছে হাজার শিশুর প্রাণ। ১ মিনিট আগেও খেলতে থাকা শিশুটি মায়ের বুক খালি করে মুহূর্তে হারিয়ে যাচ্ছে অতল জলের গহ্বরে। বাবা-মায়ের কাছে গল্প হয়ে যাচ্ছে তরতাজা একটি প্রাণ।

এ গ্রামের মানুষের মুখে মুখে ফেরে সন্তান হারানোর সেসব বেদনাদায়ক গল্প। এসব শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে ‘আঁচল’। এই দিবাযত্ন কেন্দ্রটি ৯ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লালনপালন করছে। শেখাচ্ছে পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধের নানা কৌশল। অভিভাবকরা মনে করছেন আঁচলের তলে নিরাপদে বিকশিত হচ্ছে এ গ্রামের শিশুরা। তত্ত্বাবধানকারী নারীকে শিশুরা ডাকে ‘আঁচল মা’ বলে।

আঁচল দিবাযত্ন কেন্দ্র

শিশুমৃত্যু রোধে এমন নজির স্থাপন করেছে বেসরকারি সংগঠন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুমৃত্যু রোধে কাজ করছে।

মায়ের বুকে সন্তান হারানোর দগদগে ক্ষত

বালিয়াতলিতে পানিতে ডুবে মৃত চার বছরের শিশু ইয়াসিনের বাড়ির কাছেই সিআইপিআরবির ‘আঁচল দিবাযত্ন কেন্দ্র’। সেই কেন্দ্রে ইয়াসিন নিয়মিত যেত। তবে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয় আঁচলের নির্ধারিত সময় শেষে বাড়ি ফেরার পর।

কোহিনূর বছর চারেক আগে হারিয়েছেন ৪ বছর বয়সী সন্তান ইয়াসিনকে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন মা। প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেলেন অঝোরে।

অন্যান্য দিনের মত সেদিনও দুপুরে আঁচল থেকে ফিরেছিল শিশুটি। এরপর বাবার সাথে বারান্দায় বসে নাস্তা খেয়ে ছোটে গোসলে। মা তখন ব্যস্ত রান্নায়। কিছুক্ষণ পরই যে দুপুরের খাবার বেড়ে দিতে হবে সবার প্লেটে।

এর মাঝেই ঘটে যায় অঘটন। সবার অলক্ষ্যে বাড়ির পুকুরে ডুবে যায় ছোট্ট ইয়াসিন।

এ ঘটনায় মা কোহিনূর এখনও দোষারোপ করেন নিজেকে। বারবার বলতে থাকেন, “আমি একটু খেয়াল করলে আমার বুকের মানিক এভাবে হারিয়ে যেত না।”

ডুবে যাওয়া পুকুরে এভাবেই এখনও ছেলের অপেক্ষা করেন ইয়াসিনের মা

মাত্র চারদিন আগেই (১২ মে) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুরে গোসলে নেমে মৃত্যু হয় একই পরিবারের ৩ শিশুর। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এখনও ভারী এলাকার বাতাস। দুই সন্তানকে একসাথে কবরে শুইয়ে বাকরুদ্ধ বাবা। সন্তানদের কথা ভেবে কিছুক্ষণ পর পর জ্ঞান হারাচ্ছেন মা।

উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে জিয়া কলোনি এলাকায় এ অসহায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুরা হলো: শারমিন (৫) রুমান (৭) এবং মরিয়ম (৮)। শারমিন ও রুমান আপন ভাই-বোন এবং মরিয়ম তাদের চাচাতো বোন।

জানা যায়, ওই তিন শিশু বাড়ির পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিলো।

ডুবে যাওয়ার পর প্রথমে এক শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুকুর থেকে অপর ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন। এই শিশুদের মধ্যে রুমান ও মরিয়ম সুইম সেইফ এর সাঁতার শেখা কার্যক্রমে নাম লিখিয়েছিলো।

সিআইপিআরবি’র বরাত দিয়ে জানা যায়, কিছুদিন পরই ওই গ্রামে শুরু হওয়ার কথা ছিল সাঁতার প্রশিক্ষণ। কিন্তু এর আগেই অসহায় মৃত্যুবরণ করতে হলো শিশু দু’জনের।

আঁচলে সন্তান রেখে স্বস্তিতে মায়েরা

আঁচলে দেখা মেলে মা আতিকার। তার আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। আঁচল মায়ের পরামর্শে বাচ্চাকে সেখানে দিয়েছেন।

আতিকা বলেন; “বাসায় অনেক কাজ করতে হয়। সেসময় বাচ্চার পানিতে পড়ার ভয় থাকে। বাড়ির সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে। আমার বাচ্চাটা যাতে সেসময় নিরাপদ থাকে সেজন্য এখানে দেয়া।”

আঁচল মা গান শেখাচ্ছেন শিশুদের

জামিল আক্তার নামে ২ বছর বয়সী আরেক শিশুর মা বলেন, “কাজে ব্যস্ত থাকায় বাচ্চা পানিতে পড়ে নাকি আগুনে পড়ে, নাকি দৌড়ে রাস্তায় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সবসময় খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না। আঁচল হয়ে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। যে সময় বাচ্চা এখানে থাকে সেই সময়ের মধ্যে ঘরের সব কাজ শেষ  করতে পারি। এরপর বাচ্চারা বাসায় গেলে সময়মত তাদের গোসল করিয়ে খাবার দিতে পারি। আঁচলে বাচ্চা দিয়ে মানুষের কথার হাত থেকে বাঁচতে পেরেছি। এখন আর কেউ বলে না। বাচ্চা ঠিকমত দেখে রাখতে পারো না কেনো!

পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে তৎপরতা কম

২০১৬ সালে বাংলাদেশ হেলথ অ্যান্ড ইনজুরি সার্ভে অনুযায়ী, দেশে এক থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর (আঘাতজনিত) ৩৭ শতাংশই হয় পানিতে ডুবে। সে হিসাবে বছরে সাড়ে ১৪ হাজার শিশু ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে ৭১ শতাংশই দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু। ২৮ শতাংশ শিশুর বয়স পাঁচ থেকে ৯ বছর।

বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন পানিতে ডুবে মারা যায়, যার মধ্যে ৪০ জন শিশু। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম (০ থেকে ৫৯ মাস) বয়সের শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। বিডিএইচএস (বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে) ২০১৭-১৮'র তথ্য অনুযায়ী, এক থেকে চার বছর বয়সের শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া।

অরক্ষিত ডোবা

শিশুমৃত্যু রোধ, পুষ্টি ইত্যাদি খাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় বিনিয়োগ থাকলেও পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে তৎপরতা কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই মৃত্যু প্রতিরোধে ১০টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। এর তিনটিই বাংলাদেশে সিআইপিআরবির সাফল্যের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। এগুলো হলো শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, সাঁতার শেখানো ও প্রাথমিক চিকিৎসা।

স্বাবলম্বী হয়েছেন এলাকার স্বল্পশিক্ষিত নারীরা

সিআইপিআরবি পাল্টে দিয়েছে পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার মানুষের জীবনবোধ। আঁচল কেন্দ্রে শিশুদের নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয়। পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছে এলাকার স্বল্পশিক্ষিত নারীরা।

যেসব নারীরা এক সময় মানুষের সামনে কথা বলতে সংকোচ বোধ করতেন, গুটিয়ে রাখতেন নিজেদের। তারাই আজ বিভিন্ন গঠনমূলক কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পরিবারের পাশাপাশি সমাজেও তাদের মর্যাদা বেড়েছে।

বিষয়গুলোর প্রতিফলন পাওয়া যায় আঁচল মা রোকসানার কণ্ঠে। বিজনেস পোস্ট’কে তিনি বলেন, “আগে বাসায়  একা একা বাচ্চাটার সাথে সময় কাটাতাম। মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম। সবসময় ভাবতাম কিছুটা লেখাপড়া করেছি এটাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়। সেই ভাবনা থেকেই আঁচল কেন্দ্রে যোগ দেই। এখন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়টা যে কীভাবে কেটে যায় টেরই পাই না। শুধু তা-ই নয় এখান থেকে আমি যে টাকা পাই তাতে আমার হাত খরচ চলে যায়। সংসারেও অবদান রাখতে পারি। এজন্য একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করে।”

আঁচল মা রোকসানা

“এছাড়া এলাকার সবাই আঁচল মা বলে ডাকে, আমাকে বাড়তি সম্মান করে। পরিবারে আমার মতামতের গুরুত্ব দেয়া হয়। এটা আমার জীবনে বড় পাওয়া।”

শুধু রোকসানা নয় সারাদেশে এমন আরও ২ হাজার ৫০০ দিবা যত্ন কেন্দ্রে আড়াই হাজার আঁচল মা রয়েছেন। আর তাদের সহযোগী রয়েছেন আরও ২৫,০০ জন। এ সুরক্ষা বেষ্টনীর আওতায় সেবা পাচ্ছে ২১ উপজেলার প্রায় ৬২ হাজার ৫০০ শিশু।

আঁচলে থাকায় শিশুমৃত্যু কমেছে ৮২ শতাংশ

সিআইপিআরবি’র ফিল্ড টিম ম্যানেজার মোতাহার হোসেন বলেন,সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মায়েরা রান্না ও পারিবারিক অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। এছাড়া এ সময়ে শিশুর ভাই, বোনও স্কুলে থাকে। ফলে এ সময়টা শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ সময়টিতে শিশুদের সুরক্ষা দিতে গঠিত হয় আঁচল কেন্দ্র। আঁচল কেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু অনেক হ্রাস পেয়েছে। শিশুরা এখান থেকে নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা পাচ্ছে। ‘আঁচল’ কেন্দ্রে বাচ্চাদের রেখে নিশ্চিন্তে অন্য কাজকর্ম করতে পারছেন অভিভাবকরা।”

২০০৫ সাল থেকে সিআইপিআরবি পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গবেষণায় দেখা গেছে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ‘আঁচল’ পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধ করতে পারে ৮২ শতাংশ।

অন্যদিকে ছয় থেকে দশ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শিখিয়ে তা প্রতিরোধ করা যায় ৯৬ শতাংশ। এর পাশাপাশি কোনো শিশু পানিতে ডুবে গেলে অন্য শিশুরা কীভাবে তাদের উদ্ধার করবে সেই পদ্ধতিও হাতে কলমে শেখানো হয়।

আঁচলের দেয়ালে শিশুদের আঁকা ছবি-নীতিবাক্য

এ বিষয়ে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজার সারওয়ার ই আলম বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, “৯ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার বেশি সে কারণে এ বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানোটা ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখছে আঁচল। যে সময় শিশুরা আঁচলে থাকছে সেসময়টা তারা সুরক্ষিত থাকছে। পাশাপাশি বাকি সময় কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যায় সেটিও খেলার ছলে শিখছে।  শিশুদের সুরক্ষায় এটি বেশ ফলপ্রসু।”

শিশুমৃত্যু রোধে ৩০৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন

এ নিয়ে সরকারের তেমন উদ্যোগ না থাকলেও সম্প্রতি নীতিনির্ধারণী স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। 'সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাঁতার-সুবিধা প্রদান' প্রকল্পের ৮০ ভাগ অর্থই দেবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি অর্থ আসবে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিজ ও রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই) নামের দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে। এ প্রকল্পে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর সুরক্ষায় দিবাযত্ন কেন্দ্র, ওই বয়সী দুই লাখ শিশুর জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা, ছয় থেকে ১০ বছর বয়সী তিন লাখ ৬০ হাজার শিশুকে সাঁতার শেখানো, দুই লাখ অভিভাবককে শিশুর লালন-পালনে সক্ষমতা বাড়ানো ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য রয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অধীনে ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার 'ইনট্রিগ্রেটেড কমিউনিটি বেইজড সেন্টার ফর চাইল্ড কেয়ার, প্রটেকশন অ্যান্ড সুইম-সেইফ ফ্যাসিলিটিজ' প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে এই প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

অভিভাবকহীনভাবে গোসল করছে শিশুরা

তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় দেখানো হয়েছে জানুয়ারি ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে শিশু একাডেমি। দেশব্যাপী ১৬ জেলার ৪৫টি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে এই প্রকল্প।

২০১৬ সাল থেকে বরিশাল বিভাগের দুই জেলা পটুয়াখালি ও বরগুনার তিন উপজেলায় অনুমোদিত প্রকল্পের পাইলট প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করে আসছে সিআইপিআরবি। প্রকল্পের নাম 'ভাসা'-মানে পানিতে ভেসে থাকা।