যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি এবং শিক্ষা ও দারিদ্র্য নিরসনে অর্জন এবং নারীদের অগ্রতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক কলামে এসব তথ্য জানানো হয়। সোমবার প্রকাশিত কলামে পেটুলা ডভোরাক লিখেন, “শেখ হাসিনা মোট ১৮ বছর রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসীন আছেন। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও দারিদ্র্য নিরসনে তিনি দক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”
সম্প্রতি উত্তর ভার্জিনিয়ার হোটেল রিটজ-কার্লটনের বলরুমে পেটুলা ডভোরাকের নেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে ডভোরাক লিখেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী নারী সরকার প্রধান।
কলামে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার চেয়ে বেশি লোক নিয়ে একটি দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এবং ২০০৪ সালে রক্তাক্ত গ্রেনেড হামলা সহ কমপক্ষে ২০ টি হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন।
আবদুল্লাহ নিয়ামি নামে একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে পেটুলা ডভোরাক বলেছেন, “নিয়ামি তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে জোয়াকে শূন্যে তুলে ধরেছিনে যেন তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে পান। ওই ব্যক্তি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে শীঘ্রই আর যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যাবে না ভেবে তার মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করেছেন তিনি।”
প্রবন্ধে এটিও তুলে ধরা হয়েছে যে শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত মোট ১৮ বছর চার মেয়াদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারকে সমুন্নত রেখেছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের দেয়া বক্তব্য ধরে পেটুলা ডভোরাক লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। শরণার্থী ক্যাম্পের জীবন দুর্বিষহ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাহায্য চেয়েছেন। শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নাগরিকরা তাদের দেশে ফিরতে চায়।
“শেখ হাসিনার দেশের অভিবাসী পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র অনেক বড়। এখানে প্রচুর জমি এবং কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে যা সীমিত। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে।”
নিবন্ধে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশি নারীদের সংগ্রাম ও অগ্রগতি নিয়েও বেশ প্রশংসা করা হয়েছে।
পেটুলা ডভোরাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত নারীদের জীবনসংগ্রাম প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হিসেবে জীবন দিয়ে বোঝেন।
তিনি বলেন, গত এক দশকে তার সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে দেশে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে, শিক্ষার সুযোগ বাড়িয়েছে এবং উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
আর্টিকেলটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির জন্য বেশি নম্বর প্রদানকারী বিশ্বব্যাংককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এটি ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার সময়ে সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি থেকে ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছায়।