শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। ঘনকুয়াশা ও তীব্র ঠাণ্ডায় শীতের তীব্রতায় জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। সেই সাথে দেশের প্রায় ২১ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সকালে যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, দেশের প্রায় ২১ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। জেলাগুলো- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় নৌ চলাচল বন্ধ, পদ্মায় আটকা ৪ ফেরি
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের মতো আজ সকালে ছিল ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে মৃদু বাতাস। মূলত বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হয়। দুপুরে ঘন কুয়াশা কমলেও বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশা লক্ষ্য করা যাবে। ফলে শীত ফের সকালের মতো অনুভূত হতে থাকবে। আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার খুব বেশি হবে না। দিনের তাপমাত্রা বাড়লে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য হবে।
বজলুর রশিদ বলেন, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত থাকতে পারে। দেশের সর্বশেষ রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে সিলেটে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ সকালে ঢাকাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।