সারের দাম বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতিতে আবারও প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একনেক সভা নিয়ে বসেছি, এটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে আমি বলতে পারি সারের দামবৃদ্ধিতে কিছুটা প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। কতটুকু পড়বে; এটা হিসেব কষে বলতে হবে। আমি বিজ্ঞানী নই, গবেষণা করে এটা বলতে হবে।’
তবে মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘যদি উৎপাদন বাড়ে, তবে সারের দাম বৃদ্ধিতেও মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।’
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপিসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার সারের দাম বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকেই এ দাম কার্যকর হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে।
দাম বাড়ায় এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম ২২ টাকা থেকে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২১ টাকা, এমওপি সারের দাম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা হয়েছে।