প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘সাশ্রয়ী-সহনীয় দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দেয়াই মূল চ্যালেঞ্জ’

জুন থেকে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:০১:০১ | আপডেট: ২ years আগে
‘সাশ্রয়ী-সহনীয় দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দেয়াই মূল চ্যালেঞ্জ’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ | পুরনো ছবি

গ্রাহকের দোড়গোড়ায় সাশ্রয়ী ও সহনীয় দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পৌঁছে দেয়াই মূল চ্যালেঞ্জ। ফলে বেসরকারি খাত চাইলে তেল-গ্যাস আমদানি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ সময় তিনি বলেন, আগামী জুনের পর থেকে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে না।

শনিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘এনার্জি ট্রান্সমিশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘যেসব ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, সেগুলোর মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তবে বেসরকারি খাত চাইলে তেল-গ্যাস আমদানি করতে পারবে।’

গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে, এমন মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেন, কারণ এখন আমাদের কাছে ডিপ সী-তে (গভীর সমুদ্র) এক্সেপ্লোরেশনের জন্য অফার আসছে। এর জন্য আগে কোনো পার্টিই পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন না যে, এখানে একটা বিজনেস কেস ইনভলবড। এটা এমন না যে গ্যাস পেলাম, কালকে গিয়ে ঝাঁপায়ে পড়ব। বিজনেস কেসটা হলো- খনন করলে সেটা ওই কোম্পানির জন্য লাভজনক হবে কি না। ফিসিবিলিটি ইজ দ্য মেইন থিং। তো ১০ বছর আগে কেন হয়নি? এই কারণেই হয়নি। ইট ওয়াজ নট ফিসিবল। আইওসি ২ ডলারে গ্যাস দেয়। আর সেখানে গিয়ে গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করতে গেলে লাগবে ৭ ডলার। তো আমি যদি বলি ৫ ডলার দেব, কেউ রাজি হবে? কেউ রাজি হয়নি। এটা বুঝতে হবে। এখন দাম বেড়েছে, এখন অনেক মানুষ আসছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমি কাউকে দোষ দেই না। যারা থিওরি নিয়ে কাজ করেন, তারা এ বিষয়টি বাইরে গিয়ে চিন্তা করেন না যে, কেন আসে না। কারণ খনন কোম্পানি ব্যবসাও করতে চাচ্ছে। তারা এখানে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তারা তো বসে নেই যে ২ ডলার করে গ্যাস বিক্রি করবে। তারা চিন্তা করে, আগামী ১০ বছর লাগবে আমার গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করে আসতে, সে সময় দাম কত হবে, সে সময় যদি দাম ড্রপ করে, তাহলে কী হবে। আদৌ কি চাহিদা থাকবে কি না। এখানে নানা জটিলতা আছে।’