সাতক্ষীরার পৌরসভার ব্যাংক লেনদেন সচল রাখার দাবিতে ময়লার গাড়ি রেখে ব্যাংকের সামনের প্রবেশ পথ বন্ধ করে আড়াইঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন বেতন না পাওয়া পৌর কর্মচারীরা।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজার সড়কের সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সামনে পৌরসভার ময়লার গাড়ি নিয়ে তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। তবে একই ভবনে পূবালী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা থাকায় তাদের গ্রাহকরাও ভোগান্তিতে পড়েন।
এ সময় ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহকরা লেনদেন করতে না পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাংক ম্যানেজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ২/৩ মাস ধরে বেতন তুলতে পারছেন না। বেতনের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক কর্মকর্তা ও পৌর কর্মচারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সে কারণে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজার সড়কের সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সামনে পৌরসভার ময়লার গাড়িতে রেখে অবরোধ করা হয়। আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করলেও ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিকরা।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, ‘পৌর কর্মচারীদের মাসিক বেতনের টাকা দেওয়ার জন্য আমি এবং পৌরসভার সিইওয়ের যৌথ স্বাক্ষরে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয় সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখায়। হাইকোর্টের চিঠি আছে উল্লেখ করে টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে বিভিন্ন টালবাহানা করছে বেতনের টাকা দেওয়ার নামে। কিন্তু আমি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছি। তাহলে আমার পৌর কর্মচারীরা মাসিক বেতনের টাকা পাবে না। সেটা আমি কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। টাকার জন্য পৌরসভার অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হবে সেটা হতে দিতে পারি না।’
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার সরফরাজ নেওয়াজ বলেন, পৌরসভার কর্মচারীদের বেতনের টাকা দেওয়ার জন্য বাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমি মনে করি। সে জন্য সকলকে ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি।