চলতি বছর হজের খরচ কমানো কিংবা প্যাকেজ পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এ বছর হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমিয়ে চার লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী গতকাল এ কথা জানান।
সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টার সুপ্রিমকোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাড. আশরাফ-উজ্-জামান এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এতে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানানো হয়।
লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের হাতে এখনো আসেনি। আসলে এটা নিয়ে আমাদের যা করণীয়, আমরা করব। খরচ পুনর্বিবেচনারও কোনো সুযোগ নেই। সৌদি আরবের মিনায় বাসস্থানের জন্য এবার এক লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। টাকার বিপরীতে রিয়ালের দাম বাড়ার কারণে এবার ৬৩ হাজার টাকা বেড়েছে। বিমানভাড়াও বেড়েছে।
হজযাত্রীদের বাড়তি বিমানভাড়ার সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানভাড়া বাড়ত না, এটা কিন্তু ডেডিকেটেড ফ্লাইট। এখানে হজযাত্রী ছাড়া অন্য কোনো যাত্রী নেওয়া হবে না। বিমান জেদ্দাতে হজযাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে খালি আসবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে হজযাত্রীদের ওপর চাপটা পড়েছে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে, যাতে খরচ হবে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। আর বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলেও হজযাত্রীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৭৩ হাজার ২০৮ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধনের শেষ সময় ১৬ মার্চ।
নিবন্ধনে দেরি হওয়ার একটি কারণ হচ্ছে, আমাদের এজেন্সিগুলো বাড়িভাড়া করতে দেরি করছে। ভাড়া না নেয়া পর্যন্ত এখন থেকে ক্লিয়ারেন্স পাবেন না। নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবে না। তবে কোটা পূরণ হবে বলে আশাবাদী তিনি।