চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের মোট ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। পরে সীতাকুণ্ড, কুমিরা স্টেশনসহ মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এতে কাজ না হওয়ায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেখানে যোগ দেয় আরও পাঁচটি ইউনিট। এখন মোট ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা হিঙ্গোরী পাড়ায় ‘টি ইউনিটেক্স টেক্সটাইল মিল’ ভাড়া নিয়ে তুলার গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন এস এল গ্রুপের মালিক লোকমান হোসেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে আগুন লাগে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। আগুনের ভয়াবহতা দেখে চট্টগ্রাম কন্ট্রোল রুমকে জানানো হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আরও তিনটি ইউনিট যোগ হয়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিট আসে।’
দীর্ঘ সময়েও কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘তুলাগুলো বিদেশ থেকে স্টিল বেল্টে বাধানো অবস্তায় আসে। আগুন লাগার পর ওপরের প্যাকেটটি দ্রুত জ্বল যায়। পরে আগুন বেল্টের ভেতরে ঢুকে গেলে নেভাতে সময় লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেল্টগুলো খুলে পানি দিতে হবে। এতে সময়ের প্রয়োজন। তাছাড়া এখানে পর্যাপ্ত পানি নেই, পাশে খাল থাকলেও জোয়ার না থাকায় খালটি শুকনো। পাশে তেমন পুকুরও নেই। তাই দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে।’
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আগুন কেন লেগেছে, তা আমরা এখনো জানতে পারিনি। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর আগুন লাগার কারণ বের করব। ক্ষক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক কোটি হবে। তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায়ন সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে সাতজন নিহত ও ২৫ জন আহত হন।