চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা, অঙ্গ হারানো শ্রমিকদের ৫ লাখ এবং সাধারণ আহত শ্রমিকদের ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ হল রুমে নিহত ব্যক্তিদের ওয়ারিশদের হাতে ক্ষতিপূরণ চেক তুলে দেওয়া হয়।
সীমা গ্রুপ অফ কোম্পানির পক্ষে ব্যবস্থাপক ইফতেখার উদ্দিন রুবেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনের হাতে আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করেন।
ইফতেখার উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের দাফন কাফনের জন্য তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিহত ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আহত শ্রমিকরা যতদিন সুস্থ না হন তাদের বেতন চলতে থাকবে। তাদের চিকিৎসা ব্যয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে এবং নিহত পরিবারের সদস্যরা আগ্রহী হলে তাদের সীমা গ্রুপে চাকরি দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, হতাহত সবার ক্ষতিপূরণের চেক উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা আছে। আজ যারা উপস্থিত হতে পারেননি তারা যেকোনো সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ক্ষতিপূরণের চেক বুঝে নিতে পারবেন।
এর আগে বুধবার রাতে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিহতদের পরিবার প্রতি ‘শ্রম আইন অনুসারে’ দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিল। ওই টাকা তারা মঙ্গলবারই শ্রম আদালতে জমা করে দিয়েছিল।
গত ৪ মার্চ শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার কেশবপুর গ্রামে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।