ঢাকার নিউমার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ ও গুজব প্রচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শনিবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা নিউ মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত পথচারী পারাপার সেতুটি (ফুটওভার ব্রিজ) গতবছরই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। তখন সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ফলক ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং সেতুটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে লোকজন চলাচল করছিল, যা অত্যন্ত অনিরাপদ। এমতাবস্থায় দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গত ১২ই এপ্রিল সেই সেতুটির সঙ্গে মার্কেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৪ই এপ্রিল) রাত ২টা হতে ভোর ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সেতুটির সঙ্গে মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং করপোরেশন আজকের মতো কার্যক্রম শেষ করে।
এদিকে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। সুতরাং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের সময় হতে আধা ঘণ্টারও বেশি আগে সম্পন্ন সেতুর সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কার্যক্রমের দৃশ্যত ও অদৃশ্য কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেতু অপসারণের সঙ্গে আগুন লাগাকে একসূত্রে গাঁথার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে করপোরেশন কর্তৃক সেতু বিচ্ছিন্নকরণের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই।
সেতু বিচ্ছিন্নকরণে করপোরেশন কোনো গ্যাস কাটার ব্যবহার করেনি। হুইল এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে সেতু বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। আর বিচ্ছিন্নকরণ স্থানে করপোরেশনের কর্মকর্তা, ডিপিডিসি’র কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন যাতে করে নিরাপদে এই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা যায়।
এ ছাড়া সেতুর সঙ্গে মার্কেটের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের আগে থেকেই সেতুর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।
অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা কাম্য নয়। এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা সর্বাত্মক অগ্রাধিকার। সে লক্ষ্য ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সেনাবাহিনী, র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
সুতরাং, দুর্যোগের এই কঠিনতম সময়ে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভিত্তিহীন সংবাদ ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বরং অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে সকলেই এগিয়ে আসি। তাহলেই গণমাধ্যম আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মনে করে।