প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

আমাদের বিচার বিভাগও হবে ‘স্মার্ট’: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৭:৪২ | আপডেট: ২ মাস আগে
আমাদের বিচার বিভাগও হবে ‘স্মার্ট’: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ করব বলে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছি, ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে। আমাদের বিচার বিভাগও স্মার্ট বিচার বিভাগ হবে, আমি সেটাই চাই।’

‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ এ আমার ছোট বোন আর আমি বিদেশে ছিলাম। তখন ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। যারা গুলি খাওয়া, বেঁচে গিয়ে ছিল, যারা স্বজন হারা ছিল, যাদের জীবন ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তারাও কিন্তু ওই ভারতে আশ্রয় নিয়ে ছিল। কাজেই ৭৫ এর পরে আমাদের যাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল সেটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কি চেয়েছিলেন? চেয়েছিলেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। বাঙালি জাতিকে ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দিয়ে একটু উন্নত জীবন দিতে। এই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেয়েই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেন। তারই নেতেৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার দেশের মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুনিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব যেন চিরস্থায়ী হয়।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের আসার পর থেকে মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবাধিকারের কথা শুনি, ন্যায় বিচারের কথা শুনি। সেই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার কি আমাদের ছিল না? আমি অনেকবারই হাইকোর্টে গিয়েছি, অনেক অনুষ্ঠানে গেছি। আমি যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করি, আমি বারবার এই প্রশ্নটাই করেছি, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। আমরা বিচার পাব না?’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সরকার গঠনের অল্পদিনের মধ্যেই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করি। এর ফলে জাতির পিতা হত্যা ও জেল হত্যা বিচারের বাঁধা অপসারিত হয়। সে সময়ই আমরা জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় প্রকাশ করি। জেল হত্যাসহ অন্যান্য হত্যার বিচার-প্রক্রিয়া শুরু করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে তাকে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করি। পাঠ্য পুস্তকে এবং রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিই। এভাবে ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াসের ধারা বন্ধ করি।’