কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সাথে সাথে জনমনে স্বস্তি নেমেছে। তবে এর মধ্যেই আবার আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ‘বিপর্যয়’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ।
আরব সাগরে সৃষ্ট ‘বিপর্যয়’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে আরও শক্তি সঞ্চার করবে এবং তিন দিনের মধ্যে উত্তর-উত্তরপূর্বদিকে সরে যাবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ভারতের দক্ষিণপূর্ব গোয়া থেকে ৮৬০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণপূর্ব মুম্বাই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বিপর্যয় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিপর্যয় আগামী ১২ জুন পর্যন্ত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শক্তি ধরে রাখবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি আরব সাগরের কাছে অবস্থিত পাকিস্তান, ভারত, ওমান অথবা ইরানের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা- সেটি জানায়নি ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থা। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি মূল আঘাত হানতে পারে পাকিস্তানে।
এদিকে, এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতের কেরালায় বর্ষা মৌসুম শুরু হতে আরও কয়েকদিন দেরি হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট।