নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে যা প্রকাশিত হয়েছে- তা কোনো বিবৃতি নয় বরং একটি বিজ্ঞাপন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট এটিকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেছে। এটি কেবল একটি বিজ্ঞাপন, খবর নয়। ’স্পষ্টতই, এটি একটি লবিস্ট ফার্ম দ্বারা করা হয়েছিল।’
লবিস্ট প্রতিষ্ঠানটি অতীতেও একই কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বচ্ছ এবং ইউনূসের মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউনূসের সংগঠনের সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলাটি দায়ের করেছেন এবং অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে বিচার চলছে।
এদিকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নয়, সরকারই তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করেছে।
এ দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ইউনূসের কোম্পানিতে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এ মামলা করেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অব্যাহতভাবে বিচারিক হয়রানি এবং সম্ভাব্য কারাগারে আটকের’ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১২৫ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ২৪১ জন বিশ্ব নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তৃতীয় খোলা চিঠি লিখেছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন সহকর্মীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং আপিল বিবেচনা চলাকালীন তাদের জামিন দেওয়া হয়।