প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলের সব ধরনের সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য।’
অর্জিত সমুদ্রসীমা এবং উপকূলের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাহিনীর আধুনিকায়নে নতুন রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডকে আরও শক্তিশালী করতে বাহিনীতে আধুনিক, শক্তিশালী, উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ যুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সদরদপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করেন। তখনও জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এই আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধভাবে সরকার গ্রহণ করেছিল তারা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এই ব্যাপারে ধারণা ছিল কিনা’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও মাদক পাচার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে কোস্ট গার্ড। প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলেও ভূমিকা রাখায় জনগণের আস্থা অর্জন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনার অতিমারি সারা বিশ্বে যখন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, তখনো আমরা চেষ্টা করেছি অর্থনীতি ধরে রাখতে। এর পর যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই অবস্থায় খাদ্যমন্দা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের মিতব্যায়ী হতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হবে। এ বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি আরও শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে। সমুদ্রসীমার অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউই কাজ করেনি। শিগগির যুক্ত হবে সতুন জাহাজ ও হোভারক্রাফট। সমুদ্রপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিশ্চিতে কোস্ট গার্ডের অবদান প্রশংসনীয়।