বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সমানে রেখে নির্বাচনমুখি বাজেট করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তবসম্মত মনে করছি না। এই বাজেট দ্রব্যমূল্যের দাম কমবে না বরং বাড়াবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে এ কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে আছে এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে তা হয়তো আদায় হবে না। বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীন ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছে করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীন ঋণ পাওয়া যাবে না। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই উর্ধ্বমুখী। এই দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলবে। এই বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিন্মবিত্ত, নিম্ম মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এই বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না। তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এই বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছতা সাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার। আমরা মনে করি, আগে যা ছিলো তাই বেশি ছিলো। যেটা আমাদের বাজেট দিয়ে সার্পোট দেওয়া যেতো না। আমাদের উন্নয়ন ব্যয় দেশি ও বিদেশি ঋণ নির্ভর ছিলো। এটা এখন আরও বেড়েছে।’
জি এম কাদের আরও বলেন, এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা। কারণ জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে তাতে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে।