প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে বাংলাদেশের নারীরা: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৩৯:৩০ | আপডেট: ১ year আগে
এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে বাংলাদেশের নারীরা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, খেলাধুলা সকল ক্ষেত্রে মেয়েরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বাংলাদেশের সুনাম নিয়ে আসছে। এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে বাংলাদেশের নারীরা। সেটাই হচ্ছে সব থেকে গর্বের বিষয়।’

শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ নারীর হাতে পদক তুলে দেন।

তিনি বলেন, ‘জেন্ডার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে বাংলাদেশ। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান আজ বিশ্বে সপ্তম। আমাদের স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের ৭০ শতাংশ নারী। তৈরি পোশাককর্মীরে ৮০ শতাংশ নারী। সংরক্ষিত আসনেও আমাদের মেয়েরা যেমন হয়, আবার সরাসরিও নির্বাচন করতে পারে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা এখন আর পিছিয়ে নেই। খেলাধুলায়ও তারা যথেষ্ট পারদর্শী। তাছাড়া আমাদের নারীদের বিচরণ সব জায়গায়। রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ে নারীদের অবস্থান এখন চোখে পড়ার মত।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা আফসোস রয়ে গেছে আমার, খুব ইচ্ছা ছিল একজন নারীকে আমি প্রধান বিচারপতি করে যাবো। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি কনজারভেটিভ, এগুলো ভাঙতে সময় লাগে। সেজন্য করতে পারিনি। এ আফসোসটা থেকে গেল।’

তিনি বলেন ‘জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটাই ছিল পাকিস্তানের আইন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সমস্ত আইনগুলো পরিবর্তন করেন। এই আইন পরিবর্তনের পর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে।’

এর আগে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

পদকপ্রাপ্ত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো— নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোণা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষ্মীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।