কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো এই দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় বন্যার পানি সরতে পারছে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি যান চলাচল শুরু হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ তিন শিশুর মরদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলো উঝান্টিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়া গ্রামের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০), ছেলে আমির হোসেন (৫) ও তার আত্মীয় সাবের আহমেদের মেয়ে হুমায়রা বেগম ৮। বুধবার সকালে ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে তারা নিখোঁজ হয়েছিল।
এ ছাড়া চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীত বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে।
সকাল থেকেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে এস আলম পরিবহনের সহব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন।