গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘৭৫ সাল থেকে যদি আমরা দেখি, বারবার কিন্তু গণতন্ত্র থমকে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি, রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা থাকতে পারেনি, আর এ জন্য বাংলাদেশও সেভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৩ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সফলতা টেনে বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না। আজ আমরা ভূমিহীনদের মাঝে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা সর্ব ক্ষেত্রেই যেনো বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তার জন্য যা যা করণীয় তা আমরা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার গবেষণার উপর সব সময় গুরুত্ব দেয়। ক্ষমতায় এসে আমরা প্রথমেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের উপর নজর দেই। সে ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। আমাদের দারিদ্রের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। সেই সাথে মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এবার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এই বেসামরিক পুরস্কার দেওয়া হলো।
পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূইয়া এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম।
এ ছাড়া সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন), সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় এ এস এম রকিবুল হাসান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফেরদৌসী কাদরী। আর পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানটি হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।