প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

গুলিতে সিপাহী রইশুউদ্দীন নিহত: ওইদিন কী ঘটেছিল বিজিবিকে জানিয়েছে বিএসএফ

টিবিপি ডেস্ক
০৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:২১:২০ | আপডেট: ৮ মাস আগে
গুলিতে সিপাহী রইশুউদ্দীন নিহত: ওইদিন কী ঘটেছিল বিজিবিকে জানিয়েছে বিএসএফ

যশোর সীমান্তে গুলিতে সিপাহী রইশুউদ্দীন নিহতের দিন আসলে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) বিস্তারিত জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার সকালে বিজিবির সদরদপ্তর পিলখানায় বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪ তম সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সিপাহী রইশুউদ্দীন নিহতের ঘটনা টার্গেট কিলিং নয় বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। অপরদিকে বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেছেন, ‘ওইদিন কী ঘটেছিল ইতোমধ্যে বিজিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএসএফ। এ বিষয়ে আমি আর ব্যাখ্যা করব না।’

এ বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ঘটনার সময় কুয়াশাচ্ছন্ন ও অন্ধকার ছিল। তাই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিল।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের এখন মূল লক্ষ্য যাতে সীমান্তে হত্যা না ঘটে। পোশাকধারী বা সাধারণ নাগরিক যিনিই হোক, কোনো প্রাণহানি যাতে না ঘটে সে জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করছে।

মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমরা সীমান্তে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চেষ্টা করছি। আমরা সীমান্তে কোনো হতাহত হোক চাই না।’

এদিকে অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ প্রধান বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। চোরাকারবারিরা সাধারণত ‘দা’ দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে, তারা দেখে না গুলিটা বডির কোন পার্টে লাগছে।

‌‘এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তার করা হয়, গ্রেপ্তারদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে। এ জন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে’, যোগ করেন শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল।

এবারের ডিজি পর্যায়ের যৌথ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং একমত হয়েছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন তারা।

এ ছাড়া সীমান্তের অমিমাংসিত বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক। এ সময় দুই দেশের মধ্যে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরিত হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকায় ৫-৯ মার্চ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। আর বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ নেন। সম্মেলন শেষে আজকেই তারা দেশে ফিরে যান।