রাজধানীর ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুসহ তিনজন দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছে। হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
দগ্ধরা হলেন- স্থানীয় মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মীম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২)।
এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আরও ৫ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন। তারা হলেন- ডিমের দোকদানদার মো. রাশেদ মিয়া (৩০), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান (২২), শাড়ির দোকানদার আলী হোসেন (৫২), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫) ও মো. সোহেল (৪৮)।
দগ্ধ আব্দুর রহিমের ছেলে আল-আমিন জানান, তারা ধূপখোলা মাছ বাজারের পাশে একটি বাড়িতে থাকেন। বাড়ির একপাশে মুদি দোকান। দোকানে বসা ছিলেন আব্দুর রহিম। আর পাশেই ছিলেন তার মেয়ে ও নাতি। দোকানের সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাস লাইনের মেরামত চলছিল। হঠাৎ সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় তাদের শরীরে।
আল আমিন আরও জানান, কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছিল। তবে তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ চলছিল। সকালে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়।