বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে গাছপালা ও ঘরবাড়ি। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির দেয়াল চাপায় আব্দুল খালেক নামে একজন ব্যবসায়ী এবং মহেশখালীতে গাছ চাপায় অন্য আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেয়াল চাপা ও গাছ পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর পরই কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে হামুন। এরপর একটানা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূল ও এর আশপাশের অঞ্চল দিয়ে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
ঝড়ো হাওয়া আর বাতাসের তীব্র আঘাতে কক্সবাজার শহর ও উপকূল এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরসহ অনেক এলাকায় ঝড়ের আঘাতে গাছ উপড়ে পড়ে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো কক্সবাজার শহর।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় হামুনে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলায় কাচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া কুতুবদিয়া পাড়াসহ জেলার উপকূল এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।