ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ১১ থেকে ১৩ মে’র মধ্যে। তবে কীভাবে এ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হলো সে বিষয়ে চলছে নান জল্পনা-কল্পনা। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে নামকরণ করা হলো ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে বিভিন্ন দেশ। যেমন এর আগে উপকূলে আঘাত হানা ‘সিত্রাং’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড। তেমনই ‘মোখা’ নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন দেওয়া হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এক কফির নামে? তা নিয়ে নানান কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
যদিও ‘মোখা’ শব্দের আক্ষরিক কোনো অর্থ নেই। তবে ইয়েমেনের বন্দর শহর ‘মোখা’র নামে ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ করা হয়েছে।
এর আগে ১৯ শতক পর্যন্ত মোখা ছিল ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বন্দর। এই শহর থেকেই সারা বিশ্বে বিখ্যাত কফি ‘মোখা’ রপ্তানি করা হতো। আবার কফির নামকরণও হয়েছে এ শহরের নামেই। বহু বছর ধরে মোখা বন্দর দিয়ে দেশবিদেশে ‘মোখা’ কফি রপ্তানি করা হতো।
আরও পড়ুন - ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা
এদিকে বুধবার আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী ১১ থেকে ১৩ মে’র মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি খুবই শক্তিশালী ঝড় হিসেবে আঘাত করতে পারে। এর গতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার হতে পারে বলেও জানান তিনি।