প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

জঙ্গিবাদে অর্থায়নের কথা স্বীকার, ডা. ওয়ালিউল্লাহ ফের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মে ২০২৩ ১৮:১৮:৫৮ | আপডেট: ২ years আগে
জঙ্গিবাদে অর্থায়নের কথা স্বীকার, ডা. ওয়ালিউল্লাহ ফের রিমান্ডে

জঙ্গি সম্পৃক্ততার মামলায় চক্ষু চিকিৎসক ডা. এ কে এম ওয়ালিউল্লাহর (৫৯) চতুর্থ দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈমুল ইসলাম এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান এদিন আসামিকে পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রামপুরা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এ মামলায় ডা. ওয়ালিউল্লাহকে গত ১৪ মে দুই দিন, ১৭ মে এক দিন ও ১৯ মে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিকে হেফাজতে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য বিদেশি দাতা সংগঠনের সঙ্গে এনডিএফ এবং সিএসবিডি নামের দুটি বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করেন। তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে দাতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম ও জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার কার্যক্রমে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, তিনি ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনটি জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়। সংগঠনটি দেশব্যাপী বিপুল সংখ্যক সদস্যদের কাছে থেকে মাসিক ভিত্তিতে অর্থ গ্রহণ করে।

পুলিশ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বলেন, আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর এলিফ্যান্ট রোডের ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) অফিস থেকে ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ডকুমেন্ট প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ সব আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কী না তা যাচাইয়ের জন্য আসামির জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এছাড়া আসামির কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ, জঙ্গি অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

চিকিৎসক ওয়ালিউল্লাহ ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মহেশপুর গ্রামের মৃত এ.কে.এম আনসারুল হকের ছেলে।

আসামির স্ত্রী রওশন আরা বেগমের দাবি, তার স্বামী বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক। তাকে গত ১৩ মে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।