প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে পদক্ষেপ সফল করতে প্রতিক্রিয়াশীল নীতি, পরিকল্পনা ও শাসনের মাধ্যমে বৈশ্বিক ও স্বতন্ত্র দেশের প্রচেষ্টাকে সুসংহত করতে হবে। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের উৎপত্তি বৈশ্বিক, তাই এর সমাধান ও ব্যবস্থাপনাও বৈশ্বিক হতে হবে।
মঙ্গলবার দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো বিষয়ে দুই দিনব্যাপী পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পূর্ব-রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (আইসিডিআরআই) হচ্ছে কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিডিআরআই) ও এর অংশীদারদের বার্ষিক সম্মেলন। এটি দুর্যোগ ও জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো সম্পর্কিত বৈশ্বিক আলোচনাকে শক্তিশালী করতে সদস্য দেশ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো উপাদান এবং স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির নয়াদিল্লিতে ‘ডেলিভারিং রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইনফ্রাস্ট্রাকচার: পাথওয়েজ ফর রিস্ক ইনফরমেশন সিস্টেমস, প্র্যাকটিসেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস’ শীর্ষক থিম নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যেকোনো উদ্যোগে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। আমি জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামোর জন্য সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি ও সম্মতি অপরিহার্য। আমাদের সকলের জন্য একটি টেকসই ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংহতির অনুভূতি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপক রূপান্তরকে অন্তর্ভুক্ত করে এই আলোচনায় আমাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে।’
তিনি সবার জন্য একটি উন্নত বিশ্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ২০২৩ এর আন্তর্জাতিক সম্মেলন অবকাঠামোর স্থিতিস্থাপকতা উপলব্ধি করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানের দিকে দৃশ্যমান সমাধানের দিকে একটি উদ্দেশ্যমূলক ফোকাস নিয়ে আসে।
আইসিডিআরআই ২০২৩ অবকাঠামো স্থিতিস্থাপকতার জন্য সমাধানে কাজ করতে সারা বিশ্ব থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, চিন্তাশীল নেতা, একাডেমিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করবে।