প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

সিসিডিবি জলবায়ু কেন্দ্রের যাত্রা শুরু

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাত

সাখাওয়াত হোসেন সুমন, গাজীপুর থেকে
০১ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২৬:০৪ | আপডেট: ১ year আগে
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাত
সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর ক্ষতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশের কৃষিখাত।

শনিবার গাজীপুরে সিসিডিবি ক্লাইমেট সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা নিয়ে সারাবিশ্ব চিন্তিত। এটার প্রভাব মোকাবেলা করা আমাদের মতো দরিদ্র দেশের জন্য কষ্টসাধ্য।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে দরিদ্রপীড়িত মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাত।

অনুষ্ঠানে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্লাইমেট চেঞ্জের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দিন দিন বাড়ছে। এটা হঠাৎ করে আরো বাড়বে। এজন্য ভাবতে হবে, পদক্ষেপ নিতে হবে। আর টেকনোলোজির অভাবে আমরা গবেষণা করি না।

সিসিডিবি ক্লাইমেট অ্যাডভাইজারি বডির কো-চেয়ারম্যান ড. আইনুন নিশাত বলেন, আমাদের সমস্যা হলো গবেষণা করি না। অন্য দেশ থেকে প্রযুক্তি কিনে আনি। বাইরে থেকে প্রযুক্তি এনে সেটা গ্রহণ করি। কিন্তু আমাদের আরও গবেষণা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, "আমাদের সুন্দর সুন্দর দলিল আছে। গ্রীন হাউজের প্রভাব কমানোর জন্য অনেক পরিকল্পনাও আছে।"

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের নেতিবাচক প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। হঠাৎ করে আরো বাড়বে। তার জন্য কি করণীয় সেটা ভাবতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- গাজিপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব ডেভিড এ হালদার, সিসিডিবি'র নির্বাহী পরিচালক মিস জুলিয়েট কেয়া মালাকার, সিসিডিবি ক্লাইমেট অ্যাডভাইজারি বডির সদস্য ডঃ সালিমুল হক প্রমুখ।

জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নে নিজস্ব ৫৭ একর জমির ওপর স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম ক্লাইমেট সেন্টার শুরু করেছে।

দেশের প্রধান পাঁচটি পরিবেশগত অঞ্চল-উপকূল, খরা, চরাঞ্চল, পাহাড়ি এবং হাওড় অঞ্চলকে উক্ত সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত ক্লাইমেট পার্কে মডেল হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। যা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগত সমাধানের উপায় প্রদর্শন করে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত অভিযোজন, প্রশমন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সংশ্লিষ্ট ৭০টিরও বেশি সময়োপযোগী এবং ব্যবহারোপযোগী প্রযুক্তি প্রদর্শন ছাড়াও ক্লাইমেট সেন্টারে থাকছে- ক্লাইমেট লার্নিং সেন্টার, ডিজিটাল থিয়েটার, এক্সিবিশন জোন, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরি, রিসার্চ সেন্টার এবং চিল্ড্রেন লার্নিং জোন; যা জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করবে। ক্লাইমেট সেন্টারে গাইড ট্যুরের ব্যবস্থা থাকছে।