২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার সরকার গঠনের মাত্র ৫২ দিন পরে একটি অকল্পনীয় ট্রাজেডি ঘটে। গোটা জাতি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর কখনও চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজধানীর পিলখানায় অবস্থিত বিজিবির সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস ২০২২-এর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড হল যেকোনো সুশৃঙ্খল বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। কখনও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না। অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন এবং চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করুন।’
তিনি ট্রাজেডির দিন যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে আমরা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এ বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বর্তমান সরকার এ বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে পুনর্গঠন করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাহসী ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নির্বাচিত কয়েকজন সদস্যকে বিজিবি পদক, রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক, বিজিবি পদক সেবা ও রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক সেবা প্রদান করেন।
