ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত জয়েন্ট এ্যাকশান ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের আওতায় কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবার রংপুর জেলার তিন উপজেলার (গংগাচড়া, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ) নির্বাচিত ৭৯টি মাধ্যমিক ও ২১টি মাদ্রাসায় এবং নীলফামারী জেলার চার উপজেলায় (নীলফামারী সদর, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ) নির্বাচিত ১৬৯টি মাধ্যমিক ও ২৮টি মাদ্রাসায় প্রতিযোগিতা হয়েছে। এটি সরকারের সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করছে।
প্রকল্পের আওতায় ১৭৫ জন ছাত্রীকে আত্মরক্ষার কৌশল বিষয়ক ৩২ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রকল্প এলাকার ৭টি উপজেলায় প্রশিক্ষণ পরবর্তী সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিশোরীদের ইতোমধ্যে সনদ ও বেল্ট প্রদান করা হয়েছে।
কিশোরীদের উৎসাহ দ্বিগুণ করতে রংপুর জেলার তিন উপজেলার (গংগাচড়া, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ) নির্বাচিত ১২ জন ও নীলফামারী জেলার চার উপজেলার (নীলফামারী সদর, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ) নির্বাচিত ১৭ জন প্রশিক্ষনার্থীদের নিয়ে রংপুর ও নীলফামারী জেলা পর্যায়ে শনিবার ও সোমবার আয়োজিত হয়েছে কারাতে প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রতি জেলায় ৩ জন করে বিজয়ীর হাতে ক্রেস্টসহ অংশগ্রহণকারী সকলের হাতে একটি করে স্মারক সনদ তুলে দেয়া হয়।
নীলফামারী জেলা পর্যায়ের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার, নীলফামারী, মোঃ শফিকুল ইসলাম; উপজেলা চেয়ারম্যান, নীলফামারী সদর উপজেলা, শাহিদ মাহমুদ; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নীলফামারী সদর উপজেলা, জেসমিন নাহার ,মুহাম্মদ ফয়েজ কাউছার, প্রজেক্ট ম্যানেজার-জানো, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; নাজনীন রহমান, সিনিয়ার টিম লিডার, কেয়ার বাংলাদেশ, মোঃ রেজোয়ানুর রহমান, প্রজেক্ট ম্যানেজার-জানো, ইএসডিও এবং জানো প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা। পাশাপাশি রংপুর জেলা পর্যায়ে কারাতে প্রতিযোগিতায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল আহমেদ সরকার ও সহকারি অধ্যাপক মোঃ মাহাবুব চৌধুরী এবং একই বিভাগে অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থী জানো ফিল্ড ভিজিটের অংশ হিসেবে কারাতে প্রতিযোগিতায় ছিলেন। একই সাথে জানো প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলার আগত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রতিযোগিদের অভিভাবক, প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ও নির্বাচিত প্রতিযোগী।