বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত জেআরসির বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নে ভারতের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেআরসির বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার জয়েন্ট রিভার কমিশন (জেআরসি) বৈঠকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এক যুগ ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তিটি সই করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত।
সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরের আগে জেআরসির বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ভারতীয় আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়।
সর্বশেষ ২০১০ সালে দুই দেশের মধ্যে এমন বৈঠক হয়েছিল জানিয়ে ঢাকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রী গাজেন্দ্র সিং সিখাওয়াত। বৈঠকে দুই দেশের পানিসম্পদ সংশ্লিষ্ট প্রায় সব বিষয়েই কমবেশি আলোচনা হয়। বিশেষ করে দুই দেশের অভিন্ন নদী গঙ্গা, তিস্তা, মুন, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধ কুমার এবং কুশিয়ারা নদী নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া বন্যা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, নদীর তীর রক্ষণাবেক্ষন, অভিন্ন অববাহিকা ব্যবস্থাপনা, ভারতীয় আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন পানিবণ্টন চুক্তির জন্য খসড়া তৈরিসহ অভিন্ন নদীর তথ্য বিনিময়ে জেআরসি বৈঠকে একমত হয় বাংলাদেশ ও ভারত।
১৯৯৬ সালে সই করা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির আলোকে আবারও সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বৈঠকে উভয়পক্ষ সম্মত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, মঙ্গলবার সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পানিসম্পদ এবং পানি সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহত্তর সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। আর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।