দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সড়ক ও নৌ উভয় রুটের পরিবহন খাতের জ্বালানি খরচ ১৩ দশমিক ১৬ থেকে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এনার্জি অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্স ডিভিশনের এক বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বৃদ্ধির ফলে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ৫২ সিটের দূরপাল্লার বাস ভাড়া ০.২৯২ টাকা বা ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়বে এবং শহর এলাকায় ৫২ সিটের বাসের ভাড়া ০.২৮৩ টাকা বা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
জ্বালানি বিভাগের তথ্যানুসারে, একইভাবে ডিজেল চালিত মোটর লঞ্চের প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ভাড়া ০.৪২ টাকা বা ১৯.১৮ শতাংশ বাড়তে পারে।
প্রতি কিলোমিটার দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বর্তমান ১.৮০ টাকার বিপরীতে ২.০৯২ টাকা হতে পারে। একটি সিটি কোচের জন্য, বর্তমান ২.১৫ টাকা থেকে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ভাড়া বেড়ে ২.৪৩ টাকা হবে।
আরও পড়ুন- ডিজেল-কেরোসিনে ৪২.৫, অকটেন-পেট্রোলে ৫১ শতাংশ দাম বাড়ল
একইভাবে প্রতি কিলোমিটার লঞ্চ ভাড়া বর্তমান ২.১৯ টাকা থেকে বেড়ে ২.৬২ টাকা হবে বলে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছিল।
এর আগে শুক্রবার জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) পেট্রোলিয়ামের দাম সামঞ্জস্য করেছে। কারণ বিশ্ব বাজারে এগুলোর দাম দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘যতদিন সম্ভব হয়েছে সরকার জ্বালানির দাম বাড়ায়নি। এখন বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু সমন্বয় করতে হবে। তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হলে দাম কমতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানির দাম কমায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই অনুযায়ী জ্বালানির দাম সংশোধন করা হবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অনেক দেশই নিয়মিত দামের সমন্বয় করছে।’
এছাড়াও, বিপিসি ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গত ছয় মাসে পেট্রোলিয়াম বিক্রিতে আট হাজার ১৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা লোকসান করেছে।