বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলা হয়।
নসরুল হামিদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যত দিন সম্ভব ছিল, তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা করেনি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন- সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, ভোগান্তিতে নগরবাসী
এর আগে শুক্রবার জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে। তবে সেই বৃদ্ধির মাত্রা হবে ‘যৌক্তিক’ এবং ‘সহনীয়’। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তেলের দাম বাড়াল সরকার, মূল্যবৃদ্ধির হারের দিক থেকে যা রেকর্ড।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। পেট্রলে ৪৪ টাকা এবং অকটেনে বেড়েছে ৪৬ টাকা। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে ডিজেলের দাম হবে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, যা এত দিন ৮০ টাকা ছিল। কেরোসিনের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম ডিজেলের সমান, অর্থাৎ ১১৪ টাকা।
আরও পড়ুন- ডিজেল-কেরোসিনে ৪২.৫, অকটেন-পেট্রোলে ৫১ শতাংশ দাম বাড়ল
বাড়ানো হয়েছে পেট্রল ও অকটেনের দামও। পেট্রলের নতুন দাম প্রতি লিটার ১৩০ টাকা, যা এত দিন ৮৬ টাকা ছিল। অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে জ্বালানি তেলের নতুন দাম।