প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

টিআইএন বাতিল করবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ জুন ২০২৩ ১৮:৩১:১৮ | আপডেট: ২ years আগে
টিআইএন বাতিল করবেন যেভাবে
প্রতীকী ছবি

করযোগ্য আয় নেই তারপরও বিশেষ কোন প্রয়োজনে আপনি টিন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কিন্তু এখন বিদ্যমান এই রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা বন্ধ করতে চান। সরকার প্রথমবারের মতো কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিবন্ধনমুক্ত করার জন্য নতুন বিধান চালু করেছে।

নতুন আয়কর আইন-২০২৩ (খসড়া) অনুসারে, যাদের একটি টিন সার্টিফিকেট আছে তাদের করযোগ্য আয় না থাকলেও দুই হাজার টাকা দিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। রিটার্ন জমা এবং কর পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে গুনতে হবে জরিমানাও। তবে নতুন এ আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষের কাছে বৈধ কারণ প্রদান করে টিন নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন করদাতারা।

গত অর্থবছরে কর শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) সঙ্গে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া করদাতারা ৩৮ ধরনের সরকারি সেবা নিতে পারতেন। তবে নতুন আয়কর আইন অনুসারে, চলতি অর্থবছর থেকে আরও ৫টি সহ মোট ৪৩ ধরনের সরকারি সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে করযোগ্য আয় না থাকলেও দুই হাজার টাকা দিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এ থেকে বাচতে আপনি টিআইএন বাতিল করতে পারেন।

যে শর্তে টিআইএন বাতিল করা যাবে

করদাতা মারা গেলে এবং টিন চালু রাখার মত কোন কার্যক্রম না থাকলে, শারীরিকভাবে অক্ষমতার কারণে ভবিষ্যতে কোনো করযোগ্য আয় না থাকলে, নন রেসিডেন্ট বিদেশী নাগরিক যার বাংলাদেশে কোন স্থায়ী ভিত্তি নেই এবং বর্তমানে ও ভবিষ্যতে করদাতার আয় শুন্য হলে বা করযোগ্য কোন আয় না থাকলে টিন রেজিস্ট্রেশন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা যাবে।

এছাড়াও ৬৫ বছরের উর্ধ্বে কোনও করদাতার যদি করযোগ্য আয় না থাকে (পূর্বে করযোগ্য আয় ছিল বর্তমানে নেই) তারা চাইলে টিন রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারবেন।

টিআইএন নিবন্ধন বাতিল করার জন্য কর কমিশনার বা উপ-কর কমিশনারের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় তাদের টিন সার্টিফিকেটের কপি, আগের আয়কর রিটার্নের রশিদ বা সার্টিফিকেট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

এক্ষেত্রে বিগত ৩ অর্থবছরে করযোগ্য আয় হয়নি এবং ভবিষ্যতে করযোগ্য আয় হওয়ার সুযোগ নেই এমন প্রমাণ দেখাতে হবে।

নিবন্ধন বাতিলের আবেদন প্রাপ্তির পর, আয়কর কতৃপক্ষ আবেদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন।

নতুন করে যেসব পরিষেবা পেতে ট্যাক্স রিটার্ন আবশ্যক

ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, বেসরকারী সংস্থা (এনজিও), ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং সমিতি এবং সমবায়সহ এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং রক্ষণাবেক্ষণের সময় আসন্ন অর্থবছরে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে।

এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকার বাড়ির মালিকদেরও বাড়ি ভাড়া বা লিজ দেয়ার সময় আয়কর রিটার্নের প্রমাণ জমা দিতে হবে। সব সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাগুলোতে ভবনের নকশা অনুমোদন পাওয়ার আবেদনের সময় মালিকদেরও এই প্রমাণ দেখাতে হবে।

এদিকে পণ্য সরবরাহকারী বা পরিষেবা প্রদানকারীদের নিবন্ধন বা লাইসেন্স নবায়ন করার সময় স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি এবং কার্টিজ পেপারের বিক্রেতা বা দলিল লেখকদেরও ট্যাক্স রিটার্ন আবশ্যক।