প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে জুলাইয়ে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মে ২০২৩ ২১:৩৮:৫৯ | আপডেট: ২ years আগে
ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে জুলাইয়ে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের বেইজিংয়ের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিএমইসি) কার্যালয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে মেয়র এসব কথা বলেন।

বৈঠকে ডিএনসিসির মেয়র ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশে চলমান সিএমইসি’র প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে চায়নিজ কোম্পানিটি বেলারুশ, আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে সফলতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সিএমইসি কনফার্ম (চূড়ান্ত) করেছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ ৫ জুলাই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব খরচও ওই কোম্পানি বহন করবে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বর্জ্য যে বিরাট বড় সম্পদ, বর্জ্য থেকে যে টাকা আয় করা সম্ভব আজকে তা প্রমাণ হতে চলছে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি বিরাট বিপ্লব ঘটবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যে বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করত, মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করত সেটা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পদে পরিণত হবে।’
চীনের বেইজিংয়ে চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্যরা

সিএমইসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফনগ ইয়ানসু বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। চায়না ও বাংলাদেশ দুটোই অধিক জনসংখ্যার দেশ। ফলে এসব দেশে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করলে পরিবেশ দূষণ বাড়ে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন ব্যবস্থা রেখে যেতে পারি না। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বেইজিং এখন সুফল পাচ্ছে। এই প্রকল্প ঢাকাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

বৈঠকে বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিএমইসির সঙ্গে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএনসিসি। চুক্তি অনুযায়ী, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। ডিএনসিসি প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে। রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ডিএনসিসি ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছে।