চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গোপসাগরের সন্দীপ চ্যানেলে ডুবে যাওয়া ড্রেজার সৈকত-২-এর ভেতর থেকে আরও ২ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শাহিন মোল্লা (৩৫) এবং সাড়ে ৯টায় তারেক মোল্লার (২৮) লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ও সাড়ে ৯টার দিকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নাম শাহিন মোল্লা ও তারেক মোল্লা। এর আগে বুধবার রাত ১১টায় আলম সরদার (৫০) নামের আরেকজন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার হয়।
এ নিয়ে ড্রেজারডুবির ঘটনায় সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। বাকি আর একজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাত জন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আশা করছি, নিখোঁজ অপর শ্রমিকের মরদেহও পেয়ে যাব। আমাদের ডুবুরিদল তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।’
গত সোমবার রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে- আনিচ মোল্লার দুই ছেলে ইমাম হোসেন মোল্লা ও শাহিন মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মাহমুদ মোল্লা, সেকান্দার বারির ছেলে মো. জাহিদ বারি, রহমান ফকিরের ছেলে মো. আল-আমিন ফকির ও নুরু সরদারের ছেলে আলম সরদার।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওলাদার। তারা সবাই জেলা সদরের জৈনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।
গত সোমবার উপজেলার ১৬নং সাহেরখালি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ৩নং বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ৫০০ হাজার ফুট গভীরে সাগরের মাঝে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজের বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন রাখা ছিল। রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে সেখান থেকে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।