প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘ঢাকা শহরে বায়ু দূষণ রোধ, যুবদের ভাবনা ও ঘোষণা’ শীর্ষক সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৫৫:৫৪ | আপডেট: ১ year আগে
‘ঢাকা শহরে বায়ু দূষণ রোধ, যুবদের ভাবনা ও ঘোষণা’ শীর্ষক সেমিনার

দুইটা পর্বে রাজধানীর গুলশানে জারা কনভেশন সেন্টারে “ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ রোধ-যুবদের ভাবনা ও ঘোষণা” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষায়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জনাব হাবিবুন নাহার।

এই সেমিনারের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের যুবরা অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের মতামত ও ভাবনা প্রকাশ করে।

প্রথম পর্বে সেমিনারের মূল প্রবন্ধের উপর উন্মুক্ত আলোচনার পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথচলার তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া এ পর্বে শিক্ষার্থী ও বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে অংশগ্রহণ করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল মোমেন, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ড. আহমেদ কামরুজ্জামান, ড. লেলিল চৌধুরি এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ থেকে চন্দন জেড গোমেজ। এই পর্ব সঞ্চালনা করেন অর্চি রহমান। প্যানেল আলোচনায় বিশিষ্টজনেরা ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ, তার ফলাফল ও কীভাবে তার প্রতিকার করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়া এই সমস্যা সমাধানে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তরুণ শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ কী ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়েও দিক নির্দেশনা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী জানান, “পরিবেশের উন্নয়নের জন্যে আমাদের কথার চেয়ে কাজ বেশি করতে হবে। সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষকে এই বিষয়ে অন্তর্ভুক্তের পাশাপাশি তাদেরকে সচেতন করতে হবে। যদি জনগণকে সম্পৃক্ত না করতে পারি তাহলে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোন পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন সম্ভাব হবে না। পরিবেশের উন্নয়নের জন্যে যেমন পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকা দরকার তেমনি পরিবেশ দূষণে মাঠপর্যায়ে ক্ষুদ্র শাস্তির ব্যবস্থাও রাখতে হবে।”

দুপুরের পরে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় জাতীয় অধ্যাপক আইনুন নিশাতের আলোচনার মাধ্যমে। জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ু দূষণ রোধে যুবাদের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ আগামীর ভবিষ্যতের জন্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে আমাদের যুবাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন আনতে হবে এবং তাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের বেশি বেশি শহর কেন্দ্রিক সমস্যার দিকে মনোযোগ দিতে হবে কেননা শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত যা পরিবেশের উপর মারাত্নক প্রভাব ফেলছে। এর পাশাপাশি আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং আমাদের পরিবেশ সম্পর্কিত যে সব আইন রয়েছে সেগুলোকে বাস্তবায়ন এর পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

এই পর্বে আরও আলোচনা করেন অপারেজয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু।

সেমিনার শেষ হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ইয়ুথ ভিশন ২০২৩ সম্পর্কিত বিষায়ক আলোচনার মাধ্যমে। এই পর্বে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ম্যানেজার আরবান প্রোগ্রামের যোয়ান্না ডি রোজারিও পরিচালনা করেন। তিনি এই পর্বে ভিশন বাংলাদেশ বিভিন্ন কর্মকান্ড, উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রচারণার মাধ্যমে দেশের শিশু ও বৃদ্ধদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশগত বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন এবং এই বিষয়ে তরুণ শিক্ষার্থী ও যুবকদের অংশহগ্রহনেও তাদের এই প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তা তুলে ধরেন। এছাড়া বায়ু দূষণ রোধে যুবাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এছাড়া এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন, ঢাকা সিটি কর্পরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. সাদাত আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান, ইয়ুথ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি সজিব মিয়া এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাগর মারান্ডি।