২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার সব ধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দেশে যখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, তখন যে কোনো ধরনের নাশকতা হোক না কেন, সব বিচার পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে। যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদেরও ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানকেও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শিগগিরই এটার আপিল শুনানি শুরু হবে। এছাড়া ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মামলাগুলো পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে।’
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমিসহ আশাকরি সবারই ভালো লাগে। এই শিশুদের জন্যই আমাদের যত কার্যক্রম। সোনার বাংলাদেশের শিশুরা সঠিক মানুষ হলেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা তৃপ্তি পাবে। আমি আশা করি তোমাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ চাঁদে পা রাখবে। আমরা আইন ও বিচার বিভাগ সবসময় এই শিশুদের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। বঙ্গবন্ধুর পরে আর কারও (শিশুদের) কণ্ঠে যে এই ভাষণ এতো মধুর হতে পারে, তা আজ আবার বুঝতে পারলাম।
এ সময় তিনি সরকারি শিশু পরিবারে একটি মাইক্রোবাস দেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু পরিবারের উপ- তত্ত্বাবধায়ক ঝর্ণা জাহিন। সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার উপ-পরিচালক রকনুল হক। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ আইন ও বিচার বিভাগ এবং শিশু পরিবারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।