প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৩৬:৫২ | আপডেট: ২ years আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন

জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর ৩০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে বজলুর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক।

বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর। ওই দিনই তাকে ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই মামলা করা হয় এবং বজলুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক গ্রেপ্তারের পর বজলুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এছাড়া ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট কিনতে বজলুর রশীদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ টাকা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সপক্ষে কোনো বৈধ উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। ফ্ল্যাট কেনার কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি।

২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এছাড়া ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর জামিন পান তিনি।

বিচার শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলায় বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।

গত বছরের ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আর বুধবার তার জামিন শুনানি করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।

তার আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব জানিয়েছেন, এ মামলায় জামিন পাওয়ায় তারা কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।