প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

দালাল প্লাসের সিইও ও চেয়ারম্যানের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জুলাই ২০২২ ১৮:২৫:২৬ | আপডেট: ৩ years আগে
দালাল প্লাসের সিইও ও চেয়ারম্যানের নামে মামলা

৮১ জন গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস ডট কমের সিইও এস.এম রাব্বি আল মামুন, চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন মুরাদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ৮১ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে এ মামলার আবেদন করেন গ্রাহক মো. আল আমিন তামিম।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  মো. মোশাররফ হোসেন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আজিজুক হক ওরফে সুমন, পরিচালক আবু জুবায়ের হোসেন রাব্বি, হিসাব কর্মকর্তা হাসনাইন খুরশিদ অভি, প্রধান আইটি কর্মকর্তা নাজমুস শাহাদাত ও প্রধান অপারেশন কর্মকর্তা এস.এম বোরহান উদ্দিন রনি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, অনলাইন প্লাটফর্ম ই-কর্মাসের একটি কোম্পানি দালাল প্লাস ডট কম। যেখানে দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি পণ্য সরবরাহ করা হতো। এ মামলার ৮১ জন গ্রাহককে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ সব পণ্য আকর্ষণীয় অফারে আকৃষ্ট করে দালাল প্লাস ডট কম। এতে গ্রাহকরা অফার গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ে দুই কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পেমেন্ট করেন।

পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে গ্রাহকদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। অনেক গ্রাহককে ওয়্যার হাউসে গিয়ে পণ্য গ্রহণ করার জন্য এসএমএস দেয়। সেখানে গেলে তাদের কাছ থেকে পণ্য না দিয়েই একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয় যে তারা পণ্য পেয়েছে।

কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো তারা পণ্য না দিয়েই প্রতারনার ফাঁদ পেতে গ্রাহককে ব্ল্যাকমেইল করে গ্রাহকের নিকট থেকে অসাধুভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেন। সাক্ষাৎকার শেষ হওয়ার পর গ্রাহকদের হাতে পণ্য না দিয়ে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে বলে অফিস থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রাহকরা সবাই একত্রিত হয়ে দালাল প্লাসের অফিসে গেলে কয়েক জনকে চেক প্রদান করেন। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহক তাদের পণ্য না পেয়ে আন্দোলন করেন।

এসময় পণ্য কখন ফেরত দেবে তা জানতে চাইলে স্থানীয় গুন্ডা ও ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানার স্থানীয় লোকজন নিয়ে গ্রাহকদের পিটিয়ে হুমকি দিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে যায়। কিন্তু থানা মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয় পুলিশ।