প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

দিক নির্দেশনা নেই সংকট মোকাবিলায়

গণসংহতি আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ জুন ২০২৩ ১০:৫১:১৭ | আপডেট: ২ years আগে
দিক নির্দেশনা নেই সংকট মোকাবিলায়

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় কোনো দিক নির্দেশনা নেই বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবন এক ভয়াবহ সংকটকাল অতিক্রম করছে। সামনে এই সংকট আরও প্রবল হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে আসন্ন সংকট মোকাবিলার কোনো চিন্তা অনুপস্থিত। মূল্যস্ফীতি তথা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশাহারা তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে কৃষিতে বিশেষ ভর্তুকি কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি ব্যয় কমানোর কোনো কার্যকর পরিকল্পনা নেই বাজেটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একদিকে সরকার কৃচ্ছ্রতাসাধনের কথা বলছে অন্যদিকে স্বল্প প্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ অব্যাহত রাখছে। দেশি ও বিদেশি ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে। সরকারের ঋণ করে ঘি খাওয়ার নীতি অব্যাহত আছে। অর্থাৎ আয় কীভাবে হবে তার সুনির্দিষ্ট বিবেচনা ছাড়াই বিপুল অঙ্কের ব্যয়কে নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চালু বিদ্যুৎ প্রকল্প জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেলেও বাগাড়ম্বর করে জ্বালানি খাতে মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।

জ্বালানির প্রাথমিক উৎস কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে, কীভাবে দেশজ উৎস ও নবায়নযোগ্য খাতকে প্রধান করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়, এর কোনো কিছুই প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। দেশের বিপুল অর্থ লুণ্ঠিত হয়ে পাচার হয়ে গেলেও সেই অর্থ ফিরিয়ে নিয়ে আসার কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাজেটে নেই। বরং লুণ্ঠনকারীদের লুণ্ঠন চালিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। এই সরকারের প্রদর্শনমূলক উন্নয়নের নীতিতে দেশের জনগণের প্রকৃত আয় বাড়ছে না, কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবন আজ ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে বিভিন্ন মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। রেমিট্যান্স কমছে, রপ্তানি আয় কমছে। আর এসব কিছুর ভার জনগণের ওপরে নতুন করে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার জ্বালানিসহ সেবামূলক খাতে জনগণের ব্যয় বাড়াচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক সার্বিক গতিশীলতা ও বেসরকারি খাতে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের দিকেও বাজেটে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি বাজেটে গরিবদের ওপর তাদের টিনে বাধ্যতামূলক ফি ধরা হয়েছে। যাদের করযোগ্য আয় নেই তাদের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। এটা জবরদস্তিমূলক নীতি, তাই এ রকম বাজেট গরিববান্ধব নয়। গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে লুণ্ঠনই প্রধান টার্গেট। ফলে এ বাজেট আসলে সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের নামে লুণ্ঠনের ধারাবাহিকতা। দেশের বেশির ভাগ মানুষের জীবনের সংকট মেটাতে ‘ব্যর্থ এবং অবৈধ সরকারের’ ঔদ্ধত্বের প্রকাশ এ বাজেট।