প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট ২০২২ ২১:২৭:০৯ | আপডেট: ৩ years আগে
দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব

অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগে দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেয়ায় ওই মামলার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক নূর হোসেন খানকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আসামিদের অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশনের শুনানিকালে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান ভূইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিরন মিয়া শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় ব্যাংকটির প্রাক্তন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে আসামি করেন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার রমনা করপোরেট শাখার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মাচার লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণের দায় সৃষ্টি করে নিজেরা আত্মসাৎকরেন। ওই হিসেবে সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেন। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জহুরুল হক।

এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। এই রুলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।